Message

Khwaja Enayetpuri left numerous ambrosial messages for his disciples to follow for a spiritual life to be led under the direction of a Kamel Awli (Murshid).

যখন তোমরা সালাত সমাপ্ত করিবে তখন তোমরা দাঁড়াইয়া, বসিয়া এবং শুইয়া (তথা সর্বাবস্থায়) আল্লাহকে স্মরণ করিবে, যখন তোমরা নিরাপদ হইবে তখন যথাযথ সালাত কায়েম করিবে, নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মুমিনদের জন্য আবশ্যক ।
-(সুরা আন নিসা, আয়াত-১০৩)
 
হে তামাম দুনিয়ার মুসলমান সকল । যাহারা আল্লাহর উপর ঈমান আনিয়াছ তাহারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড় । যেহেতু রাসুলুল্লাহ (স:) হামেশাই নামাজ পরিতেন ।জেহাদের মাঠেও নামাজ পরিতেন, তোমাদের পীরও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন । কঠিন বিমারেও এক ওয়াক্ত নামাজ ছাড়েন না ।তোমরাও এক ওয়াক্ত নামাজ ছারিও না । আল্লাহর নাম কাহ্হার, নামাজ ছাড়িলে আগুনের দরিয়ায় ডুবাইবেন, রক্ষা নাই ।
– খাজা এনায়েতপুরী (র:)
 
আল্লাহকে মুখে এক বল । আল্লাহ ‘এক’ মনেতেও বিশ্বাস কর । দেল আল্লাহর দিকে ঠিক রাখিয়া নামাজ আদায় কর । নামাজে আল্লাহ ছাড়া আর কোন কথা যেন মনে না আসে । এই রকম নামাজ আদায় করিলে সেই নামাজই নামাজ । তাহা হইলে তুমি সাচ্চা নামাজি । অল্প সময় নামাজে থাক ঔটুকু সময়ে আল্লাহকে কতবার ভুলিয়া যাও মনে বিচার করিয়া দেখ । নামাজে আল্লাহকে ভুলিয়া মহাপাপী হইওনা ।
-খাজা এনায়েতপুরী (র:)
 
সর্ব বিষয়ে নবী (সা:) এর সুন্নতের অনুসরণ করিয়া চলিতে হইবে । যদি কেহ নবী (সা:) এর সুন্নতের বিপরীতে চলে, তবে সে কখনও খোদা তায়ালার নৈকট্য লাভে সমর্থ হইবে না ।
-খাজা এনায়েতপুরী (র:)

হে তামাম দুনিয়ার মুসলমান সকল । যাহারা আল্লাহর উপর ঈমান আনিয়াছ তাহারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড় । যেহেতু রাসুলুল্লাহ (স:) হামেশাই নামাজ পরিতেন ।জেহাদের মাঠেও নামাজ পরিতেন, তোমাদের পীরও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন । কঠিন বিমারেও এক ওয়াক্ত নামাজ ছাড়েন না ।তোমরাও এক ওয়াক্ত নামাজ ছারিও না । আল্লাহর নাম কাহ্হার, নামাজ ছাড়িলে আগুনের দরিয়ায় ডুবাইবেন, রক্ষা নাই ।-

— খাজা এনায়েতপুরী (র:)

 হযরত শাহ সুফি খাজা কামাল উদ্দিন(নূহ মিয়া) [মা: জি: আ:] আত্ম-প্রশংসা একেবারেই পছন্দ করেন না৷দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি দরবার শরীফে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছেন ৷ তাঁর অসাধারণ মেধা, অদম্য প্রচেষ্টা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে তাঁর সময়কালে দরবারের শান, শওকত,শান্তি ও সমৃদ্ধিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে ৷ শিশুর মতো সরল, দায়িত্ব পালনে দক্ষ এবং কর্তব্যে একনিষ্ঠ এই পীরজাদা নিজেকে কোনদিনই ‘পীর’ বলে দাবী করেন নি ৷ এমন কি তাঁকে কোন যাকের ‘বাবা’ বলে সম্মান ও সম্বোধন করলেও তা তিনি মেনে নেন নি ৷ তাঁর প্রশংসাসূচক কোন গজল কোন যাকের রচনা বা পরিবেশনা করলে তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেন ৷ সবচেয়ে বড় কথা হলো, তিনি খাজা এনায়েতপুরী (রহঃ)-এর দরবারকে অখন্ড,অক্ষত এবং এক ও একক দরবার হিসেবে এর ঐক্য ও সাম্য বজায় রেখেছেন নিষ্ঠার সাথে এবং ইনশাল্লাহ কেয়ামত পর্যন্ত দরবারের এ অখন্ডতা বজায় থাকবে৷ এ কারণে যাকেরগণ বিশ্বাস করেন যে, এ দরবার আখেরী দরবার, যেখানে খাজা এনায়েতপুরী (রহঃ) হলেন আখেরী পীর৷ – তথ্য সূত্র: বিশ্বওলী হযরত খাজাবাবা এনায়েতপুরী (রহঃ) |

##আওলিয়া কারা বা আওলিয়াদের পরিচয়##*

হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা) ও ইবনে আব্বাস সহ অনেক সাহাবায় কেরাম বলেছেন- “আউলিয়া আল্লাহিল্লাযিনা ইজা রুয়ুযা জুকেরাল্লাহ।”অর্থঃ ” তারাই অলী আল্লাহ যাদের কে দেখলে খোদার কথা স্মরণ হয়।”•

ভারতের জমীনে সুলতালুন হিন্দ খাজা মাইনুদ্দীন চিশতী (রাঃ) এসে দ্বীন প্রচার করেন তিনি ৯২ লক্ষ মানুষকে মুসলমান করেেছে। এখনও খাজা বাবার (রা:) পবিত্র রওজা মোবারকে অনেক বিধর্মী মুসলমান হচ্ছে।*

আউলিয়া কেরাম (মুমিন বান্দাগন) সম্পর্কে আল-কোরান থেকে দেখুনঃ•

“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় বা ওসিলা তালাশ কর। (সুরা ৫ মায়েদা: ৩৫)

(বহু সহিহ হাদিসে আসছে যে সাহাবীগন রাসুলুল্লাহ (সা) এর উসিলা দিতেন বা ওনারা একে অন্যের উসিলা দিতেন এখন আমরা নবী-রাসুল, সাহাবী, ইমাম, ওলী-আউলিয়ার উসিলা দেই)• এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে আল্লাহর হেদায়াতপ্রাপ্ত বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে:

-اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ

অনুবাদ- আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখাও। তোমার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ। (সূরা ফাতিহা- ৬, ৭)•

আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন –الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ

অনুবাদ-যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ। (সূরা নিসা-৬৯)•

নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী । (সুরা ৭ আরাফ: ৫৬)•

হে মুমিনগণ! তোমরা অনুস্মরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুল পাক (সাঃ) এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর (ন্যায় বিচারক) রয়েছে তাদের। (সুরা ৪ নিসা: ৫৯)• আল্লাহ পাক বলেন, “তোমরা সব আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও”। (সূরা ইমরান-৭৯)•

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন,إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ”

নিশ্চয়ই তোমাদের ওলি (বন্ধু) হলেন আল্লাহ এবং তাঁর রসুল আর ঈমানদার লোকেরা- যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দিয়ে দেয়, এবং আল্লাহর প্রতি অনুগত বাধ্যগত থাকে।

وَمَن يَتَوَلَّ اللّهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ فَإِنَّ حِزْبَ اللّهِ هُمُ الْغَالِبُونَ

আর যারা ওলি (বন্ধু) মানে আল্লাহকে এবং আল্লাহর রসুলকে আর ঈমানদার লোকদেরকে, তারাই আল্লাহর দল এবং আল্লাহর দলই থাকবে বিজয়ী ” ( সূরা আল মায়িদা, আয়াত-৫৫-৫৬)•

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ

মনে রেখো যারা আল্লাহর (ওলি) বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে।

الَّذِينَ آمَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ

যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে।

لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। (সুরা ইউনুছ আয়াত :৬২-৬৪)•

নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসিনদের ভালবাসেন।’’ (সূরা আল-বাকারা:১৯৫)• আল্লাহ বলেন,إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন ।’’ (সূরা আল-বাকারা:২২২)•

তাকওয়া সকল কল্যাণের মূল। তাই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে খুবই ভালবাসেন। তিনি বলেন,فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِين‘‘আর নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালবাসেন।’’ (সূরা আল ইমরান:৭৬)•

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আরো বলেন,وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُتَّقِينَ”ওয়াল্লাহু ওয়ালীউল মুত্তাকীন “অর্থ – আর আল্লাহ্ মুত্তাকীদের (পরহেজগারদের) বন্ধু। (সূরা জাসিয়া ৪৫:১৯)•

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন , ” তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদা সম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী।” ( সূরা হুজুরাত ৪৯: ১৩ )•

যারা (প্রকৃত ভাবে) ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। (সূরা বাকারা ২৫৭)•

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন-وَاللّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ”ওয়াল্লাহু ওয়ালীউল মু’মিনীন”অর্থ – আর আল্লাহ মুমিনদের বন্ধু (অভিভাবক)।( সূরা আলে ইমরান ৩ : ৬৮ )•

”সকল মুমিনই দয়াময় আল্লাহ অলি।” ( ইমাম তাহাবী ”আল আকীদা” গ্রন্থ)•

আল্লাহ কোরআনে পরমান,শয়তান আল্লাহকে বলতেছে, “সকল মানুষকে আমি পথভ্রষ্ঠ করিব,কিন্তু আপনার সে বান্দাদের ব্যতীত যারা তার মধ্যে বিশিষ্ট। (সূরা হিজর -40)•

আল্লাহ পাক এবার নিজেই বলছেন, “বাস্তবিক আমার সে বান্দাদের উপর তোমার কতৃর্ত চলবে না। (সূরা হিজর – 43)

মাকতুবাত অনুসারে কামেল পীরের গুণাবলী: 
পীর এরূপ হওয়া আবশ্যক যিনি জজবা (আত্মীক আকর্ষণ) ও ছুলুক (আত্মীক ভ্রমণ) উভয়বিধ সৌভাগ্য লাভ করিয়াছেন ও পূর্ণ ‘ফানা – বাকার’ অধিকারী হইয়াছেন ও ‘ছয়ের এল্লাল্লাহ’ (আল্লাহতায়ালার দিকে ভ্রমণ), ‘ছয়ের ফিল্লাহ’ (আল্লাহতায়ালার গুণাবলির মধ্যে ভ্রমণ), ‘ছয়ের আনিল্লাহ বিল্লাহ’ (আল্লাহতায়ালার নৈকট্য হইতে তাঁহাকে লইয়া প্রত্যাবর্তন) ও ‘ছয়ের ফিল আশইয়া বিল্লাহ’ (আল্লাহতায়ালাকে লইয়া সৃষ্ট বস্তু সমূহের মধ্যে ভ্রমণ) – এই ছয়ের চতুষ্টয় পূর্ণ রূপে সমাপ্ত করিয়াছেন। উক্ত পীর যদি ছুলুকের পূর্বে জজবা লাভ করিয়া থাকেন, এবং ‘মোরাদ’ বা অভিষ্ট ব্যক্তিগণের মত প্রতিপালিত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি স্পর্শমণি তূল্য,তাঁহার কথাবার্তা অমৃত তুল্য এবং তাঁহার শুভ দৃষ্টিই রোগ মুক্তির কারণ। মৃত অন্তঃকরণসমূহ জীবিত হওয়া তাঁহার লক্ষ্যের প্রতি নির্ভরশীল ও অসাড় জীবনগুলি তাঁহার সুক্ষ দৃষ্টির দ্বারাই সতেজ হইয়া থাকে। কিন্তু যদি উক্ত রূপ কামেল পীর লব্ধ না হয় তাহা হইলে ছালেকে মজ্জুব বা প্রথমে ভ্রমণ, তৎপর আকর্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি হইলেও তাঁহাকে যথেষ্ঠ জানা উচিত।তাঁহার দ্বারাও অপূর্ণ ব্যক্তিগণ পূর্নত্ব লাভ করিতে পারে, এবং ‘ফানা- বাকা’ পর্যন্ত উপনীত হইয়া থাকেন।
———  ১ম খন্ড ৩য় ভাগ ১৯৩ পৃষ্ঠা,মকতুবাত শরীফ